কানাডা টুরিস্ট ভিসা পাওয়ার উপায়
যারা কানাডাতে ভ্রমণের উদ্দেশ্যে যেতে চান তাদেরকে কানাডা টুরিস্ট ভিসা নিতে হয়।প্রথমে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে কানাডা ট্যুরিস্ট ভিসার জন্য আবেদন করতে হয়। যাচাই-বাছাই শেষে কানাডা দূতাবাস থেকে কানাডা টুরিস্ট ভিসা দেওয়া হয়ে থাকে। আজকের পোস্টে কানাডা টুরিস্ট ভিসা করতে কি কি লাগে, কানাডা ট্যুরিস্ট ভিসা খরচ, ও কানাডা ট্যুরিস্ট ভিসা কিভাবে পাবেন সেই নিয়ে আলোচনা করা হবে। যারা এই বিষয় সম্পর্কে জানতে চান তারা অবশ্যই সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়বেনঃ-
কানাডা টুরিস্ট ভিসা কিভাবে পাবেন
বর্তমানে অনলাইনের মাধ্যমেই কানাডা টুরিস্ট ভিসার জন্য আবেদন করা যাচ্ছে।উক্ত https://www.canada.ca/en/immigration-refugees-citizenship/services/visit-canada/apply-visitor-visa.html লিংকটি ব্যবহার করে খুব সহজেই কানাডা ভিজিটর ভিসায় আবেদন করা যাবে এবং এখান থেকে দেখে নিতে পারবেন কানাডা ভিজিটর ভিসার শর্তাদি সম্পর্কে।
হঠাৎ যারা অনলাইনের মাধ্যমে কানাডা ট্যুরিস্ট ভিসার জন্য আবেদন করবেন তাদের প্রয়োজনীয় কিছু কাগজপত্র জমা দিতে হবে। সবকিছু জমা দেওয়া হয়ে গেলে কিছুদিন যাচাই-বাছাই করে তারা যদি আপনার আবেদন গ্রহণ করে থাকে তাহলে আপনার Irrc একাউন্টে দুইটা চিঠি পাবেন। অর্থাৎ তারা আবেদন গৃহীত করেছে কিনা এই রিলেটেড একটা চিঠি, এবং আপনার পাসপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশনা বলিসহ একটি চিঠি।আর যদি আপনার আবেদনটি প্রত্যাখ্যান করা হয় তাহলে Ircc একাউন্টে তাদের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিবে কেন তারা আপনার ভিসাটি প্রত্যাখ্যান করেছেন।
কানাডা টুরিস্ট ভিসা পাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
কানাডা ট্যুরিস্ট ভিসার জন্য আবেদন করতে কি কি ডকুমেন্ট লাগে সেই সম্পর্কে অবশ্যই কানাডা ভ্রমণের আগে জানা জরুরী। যেমনঃ-
➡️আপনার একটি অরজিনাল পাসপোর্ট থাকতে হবে এবং পাসপোর্টে মিনিমাম ছয় মাসের মেয়াদ থাকতে হবে।
➡️যদি এর আগে কখনো কানাডা গিয়ে থাকেন তাহলে কানাডার পূর্ববর্তী ভিসার কপি লাগবে।
➡️আবেদনকারীর দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের সাদা ব্যাকগ্রাউন্ড ছবি লাগবে।
➡️কভারিং লেটার প্রয়োজন হবে -এতে আবেদনকারীর নাম, পদবী, পাসপোর্ট নাম্বার, উদ্দেশ্য ও ভ্রমণের সম্পূর্ণ খরচ ইত্যাদি সকল তথ্য উল্লেখ করা থাকবে।
➡️কেউ আপনাকে কানাডা থেকে ইনভাইট লেটার পাঠালে সেটি লাগবে।
➡️কাজের প্রমাণ লাগবে অর্থাৎ আপনি কি কাজ করেন সেটার প্রমাণ পত্র লাগবে।
➡️গত ছয় মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট প্রয়োজন হবে।
যারা কানাডা টুরিস্ট ভিসা পেতে চান তাদেরকে অবশ্যই এই ডকুমেন্টগুলো নিয়ে আবেদন করতে হবে। আপনার আবেদন গৃহীত হয়ে গেলে পরবর্তীতে এয়ারলাইন ও হোটেল রিজার্ভেশন টিকিট প্রয়োজন হবে।
কানাডা ট্যুরিস্ট ভিসা খরচ
যারা কানাডা ট্যুরিস্ট ভিসার জন্য আবেদন করবেন তাদেরকে ১৩৯ ডলার আবেদন ফি দিতে হবে। আবেদন করার পর সমস্ত ডকুমেন্টগুলো জমা দিতে হবে এবং ১০ থেকে ১৫ কার্য দিবসের মধ্যে আপনার আবেদনটি গৃহীত হবে কি হবে না সেটা বলে দেওয়া হবে। সব কিছু যদি ঠিকঠাক থাকে তাহলে আপনাকে কানাডা যাওয়ার জন্য টুরিস্ট ভিসা দিয়ে দেওয়া হবে পরবর্তীতে আপনাকে শুধু এয়ারলাইট টিকিট ও হোটেল বুকিং করলেই কানাডা চলে যেতে পারবেন।
কানাডা ট্যুরিস্ট ভিসার মাধ্যমে কত দিন কানাডা ভ্রমণ করতে পারবেন/কানাডা ট্যুরিস্ট ভিসা ফ্রম বাংলাদেশ
কানাডা ট্যুরিস্ট ভিসা হচ্ছে এক ধরনের অস্থায়ী ভিসা। এই ভিসার মাধ্যমে আপনি কোনভাবেই কানাডাতে স্থায়ীভাবে থাকতে পারবেন না। কানাডা ট্যুরিস্ট ভিসায় আপনি সর্বোচ্চ ছয় মাস সেখানে থাকতে পারবেন। তাছাড়া এর বেশি কোনোভাবেই কানাডা ট্যুরিস্ট ভিসা নিয়ে থাকতে পারবেন না।
কানাডা ভিসা এপ্লিকেশন সেন্টার ঢাকা
অনেকেই কানাডা ভিসা আবেদন করবেন বলে অ্যাপ্লিকেশন সেন্টার খুঁজে থাকেন। তারা চাইলে ঢাকায় অবস্থিত কানাডা হাইকমিশনে কানাডা ভিসার জন্য এপ্লিকেশন করতে পারেন। নিচে আপনাদের সুবিধার জন্য কানাডা হাইকমিশনের ঠিকানা সহ সবকিছু প্রদান করা হলোঃ-
Dhaka, Bangladesh
Madani Avenue,
Baridhara, Dhaka 1212
Bangladesh
Phone: (+88) 02 9887091-97
Fax: (+88) 02 8823043
Website: click here
Email: dhaka@international.gc.ca।
কানাডা ভিসা প্রসেসিং এজেন্ট ইন বাংলাদেশ/ Canada tourist Visa
যারা কানাডা ভিসা প্রসেসিং করার জন্য এজেন্ট খুঁজে থাকেন তারা চাইলে সরাসরি ঢাকায় অবস্থিত কানাডা দূতাবাসে চলে যাবেন। সেখান থেকে কানাডা ভিসা প্রসেসিং করার জন্য অনেক এজেন্টদেরকে আপনি পেয়ে যাবেন ।এই সকল এজেন্টদেরকে দিয়ে কানাডা ভিসা আবেদন সহ যাবতীয় সকল কাজ করে নিতে পারেন ।
শেষ কথা, আশা করি আজকের পোস্টটি যারা পড়েছেন তারা কানাডা ট্যুরিস্ট ভিসা বা কানাডা ট্যুরিস্ট ভিসা করতে কি কি লাগে এই সকল বিষয়ে যদি সম্পর্কে মোটামুটি ধারণা পেয়েছেন। তারপরেও যদি কোন বিষয় সম্পর্কে বুঝতে কোন ধরনের অসুবিধা হয়ে থাকে তাহলে সরাসরি কমেন্ট করে জানাতে পারেন।