জন্ম নিবন্ধন ও আইডি কার্ড

১৬ ডিজিটের জন্ম নিবন্ধন যাচাই করার নিয়ম

অনেকেই আছেন যারা তাদের ১৬ ডিজিটের জন্ম নিবন্ধন যাচাই করতে চান। অর্থাৎ তাদের জন্ম নিবন্ধন ঠিক রয়েছে কিনা সেটা তারা অনলাইনের মাধ্যমে চেক করতে চান। কিন্তু ১৬ ডিজিটের জন্ম নিবন্ধন নাম্বারটি যদি যাচাই করতে হয় তাহলে আগেই সেটিকে ১৭ ডিজিটের রূপান্তর করতে হবে। ১৭ ডিজিটের রূপান্তর করার পর সেটা খুব সহজেই অনলাইনের মাধ্যমে যাচাই করা যাবে। তাহলে চলুন দেরী না করে জেনে নেয়া যাক কিভাবে ১৬ ডিজিটের জন্ম নিবন্ধন যাচাই করবেন সেই সম্পর্কে। 

১৬ ডিজিটের জন্ম নিবন্ধন যাচাই করার নিয়ম 

বর্তমান সময়ে bdris.gov.bd ওয়েবসাইটের মাধ্যমে নিজের জন্ম নিবন্ধন খুব সহজে যাচাই করা যায়। অর্থাৎ এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে দেখা যায় যে জন্ম নিবন্ধন টি সঠিক রয়েছে কিনা। কিন্তু এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে যদি জন্ম নিবন্ধন যাচাই করতে হয় তাহলে অবশ্যই আপনার জন্ম নিবন্ধন নাম্বার টি ১৭ ডিজিটের হতে হবে। তাহলে শুধুমাত্র এখান থেকে জন্ম নিবন্ধন যাচাই করা সম্ভব হবে।

১৬ ডিজিটের জন্ম নিবন্ধন যাচাই করতে সমস্যা কেন 

অতীতে সর্বপ্রথম যখন জন্ম নিবন্ধন ব্যবস্থা চালু হয় তখন ইউনিয়ন পরিষদের জন্ম নিবন্ধনের একটি রেজিস্টার ফাইলে জন্ম নিবন্ধন সনদ রাখা হতো। তখন একটি প্রিন্টেড ফরমের মাধ্যমে শুধুমাত্র হাতে লিখে জন্ম নিবন্ধন প্রদান করা হতো। আর সেই সময়ে এই সকল জন্ম নিবন্ধন নাম্বার গুলো ১৬ ডিজিটের ছিল। 

তারপর ধীরে ধীরে এটিকে সরকার অনলাইনের মাধ্যমে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করে। তাই সরকার নতুন একটি ওয়েবসাইট চালু করে এবং সেই ওয়েবসাইটের সার্ভারে জন্ম নিবন্ধনের তথ্যাদি আপলোড করে। 

আর এদের মধ্যে অনেকের জন্ম নিবন্ধন আপলোড করা বাদ পড়ে যায়। যার ফলে পরবর্তীতে জন্ম নিবন্ধন ভেরিফিকেশন করার জন্য গেলে তখন No record Found সমস্যা দেখায়। যার ফলে জন্ম নিবন্ধন আবার নতুন করে অনলাইনে নিয়ে আসতে হয়।

জন্ম নিবন্ধন ১৭ ডিজিট করার উপায়

যেহেতু ১৬ ডিজিটের জন্ম নিবন্ধন নাম্বারটি দিয়ে জন্ম নিবন্ধন যাচাই করা সম্ভব হচ্ছে না তাই আমাদেরকে এই ক্ষেত্রে জন্ম নিবন্ধনের ১৭ ডিজিটের করতে হবে। আপনার জন্ম নিবন্ধন নাম্বারটি যদি ১৬ ডিজিটের হয়ে থাকে তাহলে জন্ম নিবন্ধন নাম্বারের শেষ ৫ ডিজিট এর পূর্বে ০ যোগ করে ১৭ ডিজিট করতে পারবেন। 

কেননা জন্ম নিবন্ধনের ১৭ ডিজিটের মধ্যে প্রথম ৪ ডিজিট হচ্ছে জন্মসাল এবং শেষের ৬ ডিজিট হচ্ছে ব্যক্তিগত পরিচিতি নম্বর। আর আপনার আগের জন্ম নিবন্ধন নাম্বারে যেহেতু ৫ ডিজিটের ব্যক্তিগত পরিচিতি নাম্বার ছিল তাই এখানে শুরুতে শূন্য যোগ করে সেটা ছয় ডিজিটের করতে হবে ।

আপনারা উত্তর জন্ম নিবন্ধন নাম্বারের শেষের দিকে খেয়াল করলে দেখতে পারবেন যে শেষে পাঁচটি সংখ্যা রয়েছে ০ থেকে।এখন আপনাকে যদি এই জন্ম নিবন্ধন নাম্বার টি ১৭ ডিজিটের করতে হয় তাহলে অবশ্যই শূন্যের আগে আরেকটি শূন্য যোগ করতে হবে। তাহলে আপনার জন্ম নিবন্ধন টি সঠিকভাবে ১৭ ডিজিটের হয়ে যাবে।এখন আপনি চাইলে খুব সহজেই আপনার জন্ম নিবন্ধন যাচাই করতে পারবেন।

শেষ কথা, আশা করি আজকের পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে ১৬ ডিজিটের জন্ম নিবন্ধন যাচাই কিভাবে করতে হয় সেটা সম্পর্কে মোটামুটি ধারণা পাওয়া গিয়েছে। উক্ত উপায়ে খুব সহজেই জন্ম নিবন্ধনটি যাচাই করা সম্ভব হবে। 

সম্পর্কিত আর্টিকেল

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Back to top button