ভিসা খবর

কুয়েত ড্রাইভিং ভিসা পাওয়ার উপায়

কুয়েত খুবই উন্নত একটি দেশ। কুয়েত দেশটি অর্থনৈতিক দিক থেকেও অনেক শক্তিশালী। জীবনযাত্রার উন্নয়ন ও ভালো কাজের জন্য অনেকে কুয়েতে যাই। আজকের পোস্টে কুয়েত ড্রাইভিং ভিসা পাওয়ার উপায় ও কুয়েত ড্রাইভিং ভিসার সুযোগ-সুবিধা সম্পর্কে জানতে পারবেন। যারা এই বিষয়ে জানতে চান তারা অবশ্যই সম্পূর্ণ পোস্টটি বিস্তারিত ও মনোযোগ সহকারে পড়বেন। 

 

কুয়েতে ড্রাইভিং ভিসা কিভাবে পাবেন? 

 

কুয়েতে ড্রাইভিং ভিসার চাহিদা ব্যাপক। বাংলাদেশ থেকে অনেক মানুষ ড্রাইভিং ভিসায় কুয়েত যাওয়ার ইচ্ছা পোষণ করে। কুয়েত ড্রাইভিং ভিসা জব সার্কুলার এর জন্য আপনাকে বেশি বেশি আপডেট রাখতে হবে।

 

 সব থেকে বেশি আপডেট তথ্য পাবেন বাংলাদেশে অবস্থিত কুয়েত এজেন্সি থেকে।বছরের প্রতিটা সময় কিন্তু কুয়েতে ড্রাইভিং কাজের জন্য ভিসা দেওয়া হয়না।তাই সবসময় আপডেট রাখতে হবে,কখন ড্রাইভিং ভিসার জন্য সার্কুলার দিচ্ছে। 

 

তাছাড়া কুয়েতে যদি আপনার নিজের লোক থাকে তাহলে তাদের থেকে সহজেই সেখানকার কোনো কোম্পানিতে কাজ করার সুযোগ তৈরি করে নিতে পারবেন। শুধুমাএ ভিসা প্রসেসটা বাংলাদেশ এম্বাসি থেকে করে নিতে হবে।

 

কুয়েতে ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার জন্য অবশ্যই আপনাকে বাংলাদেশ বিআরটিসি থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হতে হবে,সার্টিফিকেটও লাগবে । ড্রাইভিং কাজের জন্য অবশ্যই ভিআইপি লাইসেন্সের প্রয়োজন হবে। সাধারণ কোন লাইসেন্স দ্বারা ভালো মানের ড্রাইভিং ভিসায় কাজ করা যাবে না। সেজন্য অবশ্যই  লাইসেন্স পাওয়ার জন্য আপনাকে দেশ থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে লাইসেন্স নিতে হবে।

 

কুয়েতে গিয়ে সেখানে আবার বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ কোর্স আছে,সে কোর্স করে আপনার স্কিল ডেভেলপ করতে পারবেন। এক্ষেত্রে সাধারণত একটু ইংরেজি জানার প্রয়োজন আছে। কুয়েতে গিয়ে যদি আপনি ড্রাইভিং কাজের উপর স্কিল ডেভেলপ করেন তাহলে সাধারণ বেতনের থেকে অনেক বেশি বেতন পাবেন। 

 

আরেকটা কথা না বললেই নয়,যেহেতু কুয়েতের ড্রাইভিং ভিসা নিয়ে বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে ব্যাপক উন্মাদনা রয়েছে এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে কিছু প্রতারক চক্র ব্যাপকভাবে মানুষকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলছে।এইসব চক্র থেকে অবশ্যই সাবধান থাকতে হবে। ড্রাইভিং ভিসা আবেদন করানোর জন্য দালালকে অতিরিক্ত টাকা দিয়ে চুক্তি করানো থেকে বিরত থাকবেন। তারপরও যদি দালাল চক্রের মাধ্যমে আবেদন করেও থাকেন, তাইলে আপনি কুয়েত ড্রাইভিং ভিসা প্রসেস সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নিবেন। তাছাড়া আপনার যাওয়া আসার খরচ,কত বছর মেয়াদের চুক্তিতে যাচ্ছেন,কোথায় থাকবেন এসব সম্পর্কে ভিসার কার্ডে উল্লেখ থাকবে। সকল বিষয়ে ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করে দেখেশুনে তারপর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিবেন। 

 

কুয়েতে ড্রাইভিং ভিসা আবেদন পদ্ধতি 

 

কুয়েতে ড্রাইভিং করার জন্য আপনাকে অনলাইনে একটি আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে। সাধারণ একটি অনলাইন ই ভিসা ফ্রম প্রয়োজন হবে। তারপর কুয়েত এজেন্সিতে গিয়ে সেখানে প্রয়োজনে সকল ডকুমেন্টস প্রদান করতে হবে।তারপর তারা আপনাকে বেশ কিছু জিজ্ঞাসাবাদ করবেন। প্রক্রিয়াধীন অবস্থায় যদি কোন ডকুমেন্টস ভুল থাকে তাহলে আপনার ভিসা বাতিল হবে।

 

সরকারি এবং বেসরকারি উভয় ভাবেই ভিসা পাওয়া যায়। যদি আপনি বেসরকারি প্রসেস গুলো ভালোভাবে না বুঝে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনি সরকারী ভাবে কুয়েতে ড্রাইভিং ভিসায় যেতে পারবেন। সরকারি ভাবে কুয়েতে ড্রাইভিং ভিসার জন্য গেলে সেখানে খুব একটা বেশি পরিশ্রম করতে হবে না।

 

সাধারণতো বেশির ভাগ সময়ে অফিস আদালতের ড্রাইভার হিসেবে থাকতে হয়।বিভিন্ন এজেন্সি রয়েছে যেগুলোতে শিপমেন্টের কাজ করার জন্য বহু গাড়ি প্রয়োজন হয় সেগুলোতে ড্রাইভার হিসেবে বাংলাদেশ কে রাখা হয়।  তাছাড়াও কুয়েতে তেলের অনেক গাড়ি রয়েছে সেখানে ড্রাইভারদের সরকারিভাবে কাজ করার সুযোগ রয়েছে।

 

কুয়েতে ড্রাইভিং ভিসার বেতন কত

 

কুয়েতের মুদ্রার নাম হচ্ছে দিনার। তাদের দেশে মুদ্রা কে দিনার বলা হয়। এক দিনার বাংলাদেশের প্রায় ৩০৬ টাকা। কুয়েতে ড্রাইভিং এর অনেক চাহিদা রয়েছে। আপনি যদি প্রাইভেট  কার ড্রাইভার হন তাহলে আপনার বেতন পড়বে ১২০ দিনার থেকে ১৩০ দিনারের মতো।আর যদি আপনি পিকআপ,বাস বা ছোটখাটো কোন গাড়ি চালান তবে আপনার বেতন পড়বে ১৪০ থেকে ১৬০ দিনারের মতো।

 

তাছাড়া বিভিন্ন কোম্পানি বিভিন্ন  রকম স্যালারি বা বেতন প্রদান করে থাকে বা দিয়ে থাকে। সেটার ক্ষেত্রে বেতন কমবেশি হতে পারে। সেটা আপনি কাজ নেয়ার সময় জেনেই কাজ শুরু করবেন।বাংলাদেশি টাকায় আপনি প্রতি মাসে ৪০ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা, বা তারও বেশি ইনকাম করতে পারবেন।প্রতি বছর অসংখ্য বিদেশিরা কুয়েতে ড্রাইভিং এর কাজ করছে।

 

কুয়েত ড্রাইভিং ভিসার সুযোগ সুবিধা

 

কুয়েতের মানুষ আইনের উপর ব্যাপক শ্রদ্ধাশীল। তাই অন্যান্য দেশে যেমন নানা ধরনের সহিংস ঘটনা ঘটে থাকে তেমনটি ঘটার সম্ভাবনা নেই কুয়েতে। অন্যান্য দেশের তুলনায় খুবই শান্তিপ্রিয় একটি দেশ হলো কুয়েত।

 

এশিয়ার মানুষের মধ্যে কুয়েতে ড্রাইভিং ভিসা পাওয়ার জন্য প্রচুর আগ্রহ থাকে। কুয়েত ড্রাইভিং ভিসার জন্য প্রথম পর্যায়ের একটি দেশ বলে ধরা হয়।কুয়েতে সবথেকে বড় সুবিধা হল বেতন। অন্যান্য দেশের তুলনায় কুয়েতের ড্রাইভিং ভিসার বেতন তুলনামূলকভাবে বেশি।

 

উন্নত দেশগুলোর তালিকায় কুয়েত শীর্ষের দিকে রয়েছে। তাই এখানে পরিবেশ ব্যাপক উন্নত। কুয়েতের আইন খুবই শক্তিশালী হওয়ায় সেখানে অন্যায় দুর্নীতির কোনো প্রশ্রয় নেই।

 

পরিশেষে একটা কথা,আশা করি পোস্টটি পড়ে আপনারা কুয়েতে ড্রাইভিং ভিসা, ড্রাইভিং ভিসার জন্য কিভাবে আবেদন  করবেন,কুয়েতে ড্রাইভিং ভিসার বেতন,সুযোগ-সুবিধা এসব সম্বন্ধে  প্রয়োজনীয় তথ্য জানতে পেরেছেন।।তারপরও যদি  এই বিষয় সম্পর্কে কোন ধরনের প্রশ্ন থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্টে জানাতে পারেন। 

সম্পর্কিত আর্টিকেল

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Back to top button