সঞ্চয় পত্রের নতুন নিয়ম ২০২৪।কোন ব্যাংকে বেশি মুনাফা পাবেন
বর্তমান সময়ে আমাদের দেশের অবস্থা যেমন খারাপ তেমনি বিশ্বের অনেক দেশে অর্থনৈতিক মন্দা চলছে।অর্থাৎ বিশ্বের অনেক উন্নত এবং অনুন্নত দেশেও মূল্যস্ফীতি চরম পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে। তাহলে অবশ্যই বুঝতে পারছেন যে আস্তে আস্তে টাকার মান অনেক কমে যাচ্ছে। এর কারণে রিটার্ন দাখিল ছাড়া নতুন সঞ্চয়পত্র কিনতে পারবেন না।তাছাড়া সঞ্চয়পত্রের নতুন নিয়ম ২০২৪ বা সঞ্চয় পত্রে কি কি পরিবর্তন আসতে চলেছে আজকের পোস্টে সেই বিষয় নিয়েই আপনাদের সাথে আলোচনা করা হবে।
সঞ্চয়পত্রের নতুন নিয়ম
যারা নতুন সঞ্চয়পত্র করবেন বলে ভাবছেন তাদের অবশ্যই সঞ্চয় পত্রের নতুন নিয়ম সম্পর্কে জানা উচিত। সঞ্চয়পত্রের নতুন নিয়মে মুনাফার হার অনেক কমে গিয়েছে। ব্যাংকগুলো কোন আদেশ জারি না করেই ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত টিন ছাড়াই বিনিয়োগ সুযোগ দিচ্ছে। তাই এ ক্ষেত্রে আপনি যদি একজন বড় বিনিয়োগকারী হন তাহলে পুরো অর্থ সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ না করাই ভালো।
বর্তমানে আপনি চাইলে দেশের যেকোনো ব্যাংক থেকে সঞ্চয়পত্র কিনতে পারবেন। শুধুমাত্র বাংলাদেশের ইসলামিক ব্যাংকিং থেকে সঞ্চয় পত্র কিনতে পারবেন না। আপনি যদি ডাকঘর থেকে সঞ্চয় পত্র এক লক্ষ টাকার বেশি মূল্য দিয়ে সঞ্চয়পত্র কিনতে চান তাহলে অবশিষ্ট অর্থ ব্যাংকে জমা দিয়ে সঞ্চয়পত্র মূল্য পরিশোধ করতে হবে।
যেহেতু বর্তমানে মুনাফার হার অনেক নিম্নগামী তাই এখানে ৩০ লক্ষ টাকার কম ইনভেস্ট করা মানে বোকামি। আপনি চাইলে বিভিন্ন এসেটে বিনিয়োগ করতে পারবেন। তিন বছর মেয়াদী সঞ্চয় পত্রে বর্তমানে মেয়াদ শেষে মুনাফার হার ১১.০৪ শতাংশ। আর সেটি এখন বর্তমানে ১৫ লাখ টাকা বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কমিয়ে করা হয়েছে ১০%।
আর যাদের ৩০ লক্ষ টাকার বেশি বিনিয়োগ রয়েছে তারা মেয়াদ শেষে মুনাফা পাবেন মাত্র ৯ শতাংশ।অর্থাৎ বিনিয়োগ্রিত টাকার উপর মুনাফা এখন অনেক কম দিচ্ছে। মুনাফার হার কমানো হলেও সর্বনিম্ন পনের লক্ষ টাকা বিনিয়োগের ক্ষেত্রে মুনাফা একই রাখা হয়েছে।
টিন সার্টিফিকেট পূর্বে দুই লক্ষ টাকার কিনলে দিতে হতো এখন ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত টিএন সার্টিফিকেট লাগেনা। ডাকঘর থেকে ক্রয় কালে এক লক্ষ টাকার উপরে সঞ্চয় পত্র ক্রয়ে নগদ অর্থে কেনা যাবে না। তাই এ ক্ষেত্রে এক লক্ষ টাকার উপরে কিনলেই অবশিষ্ট টাকা ব্যাংকে জমা রেখে চেকের মাধ্যমে ক্রয় করতে হবে।
৫ লক্ষ টাকার অধিক মূল্যের সঞ্চয়পত্র ক্রয়ের ক্ষেত্রে রিটার্ন দাখিল এর প্রমাণ পত্র লাগবে। আর কোন কিছু বিনিয়োগ থাকুক আর না থাকুক যদি ৫ লক্ষ টাকা আপনার বিনিয়োগ থাকে তাহলে কোন ভাবেই এক লক্ষ টাকার সঞ্চয়পত্র কিনতে পারবেন না। যদি না রিটার্ন বা আয়কর বিবরণী দাখিল না করে থাকেন। তাই অবশ্যই রিটার্ন দাখিল করে রশিদ সংগ্রহ রাখতে হবে।
সোনালী ব্যাংকের সঞ্জয় পত্রের নতুন নিয়ম ২০২২
সোনালী ব্যাংকে যারা সঞ্চয়পত্র করেছিলেন সোনালী ব্যাংক থেকেও কিছু মুনাফা কম দিচ্ছে। যারা সোনালী ব্যাংক সঞ্চয়পত্রের সাথে যুক্ত রয়েছেন তারা সোনালী ব্যাংক সঞ্চয় পত্রের নতুন নিয়ম জানতে সরাসরি সোনালী ব্যাংকের শাখায় গিয়ে জেনে নিতে পারেন তাহলে এই বিষয়ে সঠিক তথ্য জানতে পারবেন এবং তাদের কাছ থেকে কোন ধরনের সমস্যা হলেও সমাধান নিতে পারবেন।
পরিবার সঞ্চয়পত্রের নতুন নিয়ম ২০২২
পাঁচ বছর মেয়াদী এই সঞ্জয় পত্রে মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে মুনাফার হার পাবেন ১১. ৫২ শতাংশ। আর যারা ১৫ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগ করবেন তাদের মুনাফার হার কমিয়ে রাখা হয়েছে 10 শতাংশ। আর যারা ৩০ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগ করবেন তাদের মুনাফার হার আর কমে রাখা হয়েছে নয় শতাংশ তাহলে অবশ্যই বুঝতে পারছেন নতুন নিয়মে মুনাফার হার অনেক কমে গিয়েছে।
ডাকঘর সঞ্চয়পত্র কেনার নিয়ম ২০২৩
বর্তমানে সবকিছুতেই পরিবর্তন এসেছে। সঞ্চয় পত্রে আগে যেমন মুনাফা দেওয়া হতো বর্তমান সময়ে মুনাফার হার অনেক কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া ডাকঘর সঞ্চয়পত্র কেনার নিয়ম বা বিক্রি পদ্ধতি অনেকটা পরিবর্তন এসেছে। যারা ডাকঘর সঞ্চয়পত্র কিনতে চান তাই তারা সরাসরি থাক ঘরে গিয়ে যোগাযোগ করতে পারেন এবং তাদের শর্তাদি গুলো শুনে নিতে পারেন।
সঞ্চয়পত্রের নতুন নিয়ম ২০২২ মুনাফার হার
সেভিংস করে সাধারণত মানুষ অর্থের বৃদ্ধি করার জন্য। কিন্তু বর্তমান সময়ে কোনোভাবে সেভিংস করার মাধ্যমে আপনি অর্থ বৃদ্ধি করতে পারবেন না। কেননা বর্তমানে মূল্যস্ফীতি বা ইনফিলেশন বিট করার মত মুনাফা বা সুদের হার ভালো থাকতে হবে। তাই সঞ্চয়পত্রের দিকে না ঝুঁকে নতুন কোন কাজে ইনভেস্ট করতে থাকুন।
অর্থাৎ আপনি স্কিল ডেভেলপমেন্ট করার জন্য নতুন কোন কাজে বিনিয়োগ করার চেষ্টা করুন। যারা অতিরিক্ত অর্থ কোনো ব্যবসায়িক বিনিয়োগ করতে চান না তারা চাইলে সঞ্চয়পত্রে কম মুনাফায় রাখতে পারেন।
কেননা বর্তমানে নতুন নিয়ম অনুযায়ী সঞ্চয়পত্রে মুনাফার হার অনেক কম হয়ে গিয়েছে। তাই আপনারা এখন ভেবে দেখতে পারেন সঞ্চয়পত্রে টাকা রাখবেন নাকি অন্য কোন খাতে টাকা ইনভেস্ট করবেন।
সঞ্চয়পত্র কোন কোন ব্যাংকে করা যায়
সঞ্চয়পত্র রাখার জন্য সোনালী ব্যাংক এবং অগ্রণী ব্যাংক খুবই অসাধারণ সুবিধা দিয়ে থাকে। কিন্তু বর্তমানে সারা বিশ্বে মূল্যস্ফীতির কারণে আমাদের দেশেও সঞ্চয়পত্র মুনাফার ওপর প্রভাব পড়েছে। এখন সঞ্জয় পত্রের মুনাফার হার অনেক কম দিচ্ছে আগের তুলনায়। যারা ৩০ লক্ষ টাকার বেশি বিনিয়োগ করে রাখছেন সঞ্চয়পত্রের জন্য তাদেরকে সাধারণত ৯ শতাংশ মুনাফা দেওয়া হচ্ছে। তবে সমস্যাটি হয়তো ক্ষণিকের জন্য হতে পারে। পরবর্তীতে আবারও সঞ্চয়পত্রে আপনারা মুনাফার হার বেশি পেতে পারেন। কেননা মূল্যস্ফীতি যদি নিয়ন্ত্রণে চলে আসে তাহলে আবারো আপনারা সঞ্চয় পত্র থেকে ভালো পরিমান মুনাফা পাবেন।
শেষ কথা, আশা করি আজকের পোস্টটি যারা পড়েছেন তারা সঞ্জয় পত্রের নতুন নিয়ম ২০২৩ বা সঞ্চয়পত্রের নতুন নিয়মে কি কি পরিবর্তন এসেছে সেই সম্পর্কে মোটামুটি ধারণা পেয়েছেন। তারপরেও যদি এই বিষয়ে কোন ধরনের প্রশ্ন থেকে থাকে তাহলে আমাদেরকে সরাসরি কমেন্ট করে জানাতে পারেন আপনার প্রশ্নটির দ্রুত সময়ের মধ্যে উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করা হবে।