ভিসা খবর

কুয়েত ভিসা পাওয়ার উপায়।কুয়েত ভিসার দাম ও ভিসা প্রসেসিং খরচ

কুয়েত ভিসাঃপশ্চিম এশিয়ার একটি দেশ কুয়েত। যেখানে প্রতিবছর মানুষ নিজেদের প্রয়োজনে নিজ দেশ ছেড়ে অবস্থান করেন। আর এটা আমরা সবাই জানি নিজ দেশের বাইরে অন্য দেশে পৌঁছানোর জন্য এবং সেখানে অবস্থানের জন্য বেশ কিছু নিয়মাবলী অনুসরণ করতে হয়। এক কথায়, দেশের বাইরে অবস্থানের জন্য প্রয়োজন পরে ভিসার।

আর সেই ভিসা সংগ্রহ করতে হয় একটি সঠিক প্রক্রিয়ায়। তবে প্রযুক্তির ছোঁয়ায় এখন বিশ্ব অনেকটাই উন্নত। তাই, একটা সময় যে ভিসা সংগ্রহ করতে কয়েক মাস সময় লেগে যেত ভোগ করতে হতো হয়রানি, নষ্ট করতে হতো সময়- এখন সেই ভিসা ঘরে বসেই কোনরকম ঝামেলা ছাড়াই করে ফেলা সম্ভব হচ্ছে।

আজকের আর্টিকেলে আমরা কুয়েতের বিভিন্ন প্রকার ভিসা সম্পর্কে বিস্তারিত জানাবো। তাই আপনারা যারা কুয়েত ভিসার এ টু জেড সম্পর্কে অবগত হতে চান তারা অবশ্যই আজকের এই আর্টিকেল স্কিপ না করে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন। কেননা আজকের আলোচনায় থাকছে-

 

কুয়েতের নতুন ভিসা

কুয়েত ভিসা কত প্রকার ও কি কি?

কুয়েত ভিসা কিভাবে সংগ্রহ করা যায়?

কুয়েত ভিসার দাম কত?

কুয়েতে যেতে মোট কত টাকা খরচ পরে?

কুয়েত ভিসার আবেদন প্রক্রিয়া এবং সেখানে বাংলাদেশ থেকে যাওয়ার সহজ উপায় সম্পর্কে।

তো সুপ্রিয় পাঠক বৃন্দ, আসুন শুরু করি।

 

কুয়েত ভিসা ভিসা পাওয়ার উপায়

 

অপরূপ সৌন্দর্যে পরিপূর্ণ একটি দেশ কুয়েত। তাইতো সেখানে প্রতিবছর হাজার হাজার ভ্রমণ পিপাসুদের আগমন ঘটে। কেউ সেখানে ভিড় জমায় প্রকৃতির অপরূপ স্নিগ্ধতা উপলব্ধি করার উদ্দেশ্যে, আবার কেউ কর্মে নিযুক্ত হতে পারিজমায় সেখানে। মূলত এক এক মানুষের একেক উদ্দেশ্য থেকে থাকে এক্ষেত্রে। তাইতো কুয়েত ভিসা বিভিন্ন ধরনের বা প্রকারের হয়ে থাকে।

 

তবে ভিসা বিভিন্ন ধরনের হলেও কুয়েত ভিসা সংগ্রহ করার পদ্ধতি একটিই, যা পর্যায়ক্রমে আমরা আজকের আর্টিকেলে আলোচনা করব। আপনি যদি একজন বাংলাদেশী নাগরিক হয়ে বৈধ উপায়ে কুয়েত ভিসা পেতে চান তাহলে আমাদের দেওয়া নিয়মাবলী অনুসরণ করুন।মূলত কুয়েত ভিসার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ভিসা সমূহ হলো:-

 

➡️কুয়েত টুরিস্ট ভিসা

➡️কুয়েত বিজনেস ভিসা

➡️কুয়েত স্টুডেন্ট ভিসা

➡️কুয়েত ট্রানজিট ভিসা

➡️কুয়েত ফ্যামিলি ভিসা

➡️কুয়েত মেডিকেল ভিসা

➡️কুয়েত ওয়ার্ক ভিসা

➡️কুয়েত ড্রাইভিং ভিসা

➡️কুয়েত ভিজিট ভিসা সহ প্রভৃতি।

 

কুয়েত টুরিস্ট ভিসা

 

যে বা যারা শুধুমাত্র বেড়ানোর উদ্দেশ্যে কুয়েতে যাওয়ার জন্য চিন্তা ভাবনা করছেন তাদের জন্য প্রয়োজন পরবে কুয়েত টুরিস্ট ভিসা। এই ভিসার জন্য আবেদন করার পর যদি একবার অনুমোদন পায় তাহলে, তা ইমেইলের মাধ্যমে ভ্রমণকারী কে পাঠানো হয়। অনলাইনে কুয়েত ভিসা ৩০ দিন পর্যন্ত চলমান থাকে।

 

কুয়েত বিজনেস ভিসা

 

যারা ব্যবসায়িক কারণে নিজ দেশ ছেড়ে কুয়েতে অবস্থান করতে চান তাদের জন্য কুয়েত বিজনেস ভিসার প্রয়োজন পড়বে। এক্ষেত্রে সাধারণত ভিসা ১০ কার্যদিবস পর্যন্ত চলমান থাকে। তাই যারা সফল ব্যবসায়ী হয়ে ওঠার উদ্দেশ্যে বৈধ উপায়ে কুয়েত যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন তাদের জন্য কুয়েত বিজনেস ভিসা সংগ্রহ করা জরুরী।

 

কুয়েত স্টুডেন্ট ভিসা

 

কুয়েত দেশটি  প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার জন্য অনেক বেশি সুপরিচিত। সেখানে শিক্ষা ব্যবস্থা অত্যন্ত সুন্দর। আর তাইতো প্রতিবছর সেখানে বাইরের দেশ থেকে বহু শিক্ষার্থীরা আসে শুধুমাত্র উপযুক্ত সুযোগ সুবিধা লাভের আশায়। তাই যারা লেখাপড়া কে কেন্দ্র করে কুয়েতে অবস্থান করতে চান তাদের জন্য কুয়েত স্টুডেন্ট ভিসা।

 

কুয়েত মেডিকেল ভিসা

 

বাংলাদেশ উন্নতশীল দেশ তবুও আমাদের এই দেশে সম্পূর্ণভাবে আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা এখনো পর্যন্ত চলমান নয়। যেটা বাইরের দেশে ইতোমধ্যে চলমান রয়েছে। আর তাই স্বাভাবিকভাবে অসুস্থ মানুষরা নিজেদের চিকিৎসার জন্য হরহামেশাই বাইরের দেশগুলোতে যেয়ে থাকেন। যে বা যারা চিকিৎসার জন্য ভিসা সংগ্রহ করেন তাদের জন্য কুয়েত মেডিকেল ভিসা।

 

কুয়েত ড্রাইভিং ভিসা

 

কুয়েত এমন একটি দেশ যেখানে ড্রাইভিং এর অনেক চাহিদা রয়েছে। আর তাই সেখানে অসংখ্য বহিরাগতরা ড্রাইভিং এর কাজ করার উদ্দেশ্যে এসে থাকে। যে বা যারা শীর্ষ ধনী দেশ কুয়েতে ড্রাইভিং করতে যান তাদের জন্য প্রয়োজন করে ড্রাইভিং ভিসা। কুয়েতে ড্রাইভিং ভিসার বেতন হলো ১২০-১৩০দিনার।

 

কুয়েত ওয়ার্ক ভিসা

 

যারা প্রবাসী হয়ে কাজের উদ্দেশ্যে শীর্ষ ধনী দেশ কুয়েতে যাওয়ার জন্য পরিকল্পনা করছেন তাদের জন্য কুয়েতওয়ার্ক ভিসা। এছাড়াও এক একটি কার্যদিবস বা উদ্দেশ্যকে কেন্দ্র করে রয়েছে এক একটি ভিসা। যেগুলো বৈধ উপায়ে সংগ্রহ করা অধিক বেশি জরুরী। এবার আসুন জেনে নেই কুয়েত এর নতুন ভিসা এবং কুয়েত ভিসার দাম সহ আরো বিস্তারিত কিছু তথ্য

 

কুয়েত ভিসার আবেদন প্রক্রিয়া

 

কুয়েত ভিসা আবেদনের জন্য একটি নির্দিষ্ট নিয়ম অনুসরণ করতে হবে। তাই যেই বা যারা কুয়েত ভিসা সংগ্রহ করতে চান তারা আমাদের দেওয়া ইন্সট্রাকশন অনুসরণ করুন এবং খুব সহজেই সংগ্রহ করুন কুয়েত ভিসা।

 

সুপ্রিয় পাঠবৃন্দ, অনুগ্রহ করে www.visa.gov.bd -এই ওয়েবসাইটে অনলাইনে ভিসার আবেদন পূরণ করুন। এক্ষেত্রে আপনাকে যা যা করতে হবে।

 

প্রথমত: উপরে উল্লেখিত লিংকে প্রবেশ করুন।

দ্বিতীয়ত: অনলাইনে ফরম পূরণ করার সময় সেকশন -৪ এ পেমেন্টের অপশনটি স্কিপ করুন

তৃতীয়ত: সেকশন-৬ এ এফএম ট্যাটি নির্বাচন করুন।

চতুর্থত: প্রয়োজনীয় ইনফরমেশন দেওয়ার পরবর্তীতে আবেদনপত্র জমা করুন এবং অনুগ্রহ করে তা প্রিন্ট করুন।

পঞ্চমত: প্রিন্ট করা কপি দূতাবাসের কাউন্টারে জমা দিন অথবা দূতাবাসের কনসিলার বিভাগে ডাকযোগে পাঠান।

 

ব্যাস এটুকুই পরবর্তীতে ভিসা প্রসেসিং শেষে সরাসরি দূতাবাস হতে আপনি আপনার পাসপোর্ট রিসিভ করতে পারবেন। তবে হ্যাঁ আবেদনের সময় যে সকল প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হবে সেগুলো হলো:

 

১.পাসপোর্ট সাইজের সদ্য তোলা রঙিন ছবি

২.বাংলাদেশের নাগরিকত্ব সনদপত্র

৩.কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিন এর ডোসের ফরম

৪.পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট

৫.জন্ম নিবন্ধন পত্র

 

কুয়েত ভিসার দাম

 

কুয়েত ভিসার দাম প্রকারভেদে আলাদা আলাদা। তবে মিনিমাম ৭থেকে ৮ লক্ষ টাকা খরচ পড়ে থাকে কুয়েত ভিসার ক্ষেত্রে। তবে কখনো কখনো এর অনেকটাই কম অ্যামাউন্টে ভিসা সংগ্রহ করা যেতে পারে।

 

কুয়েতের মুদ্রার নাম কি

 

আমরা সবাই জানি এক একটি দেশে টাকা এক এক নামে পরিচিত। সেই সাথে এক এক দেশের মুদ্রা বা টাকা আলাদা আলাদা পরিমাপের নির্ভরযোগ্য। প্রত্যেক দেশের টাকার মান এক হয় না। মূলত বেশ কিছু তফাৎ থেকে থাকে বিভিন্ন দেশের মুদ্রার মধ্যে। যে বা যারা কুয়েতের মুদ্রার নাম জানতে চান তাদের প্রশ্নের উত্তরে বলব– কুয়েতের মুদ্রার নাম দিনার। যার প্রতি একটাকায় বাংলাদেশের ৩৪,৯০১.১৪ টাকা।

 

কুয়েতের ১ টাকা বাংলাদেশের কত টাকা

 

কুয়েতের ১ টাকা বাংলাদেশের = ৩৪,৯০১.১৪ টাকা

কুয়েতের ১০০ টাকা বাংলাদেশের কত টাক

কুয়েতের ১ টাকা বাংলাদেশের = ৩৪,৯০১.১৪ টাকা।

 

১০০ ”      ”               ৩৪,৯০১.১৪×১০০ টাকা

 

                              = ৩,৪৯০,১১৪ টাকা

 

বাংলাদেশ থেকে কুয়েতে যেতে কত টাকা লাগে

 

বাংলাদেশ থেকে কুয়েতে যেতে কত টাকা লাগে তার সঠিক হিসেব বলা সম্ভব নয়। তবে আনুমানিক হিসেবে সাত থেকে আট লাখ টাকা খরচ করতে পারে। তবে হ্যাঁ এক্ষেত্রে বলে রাখা ভালো, কুয়েতের ভিসা প্রসেসিং খরচ মাত্র ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা।

 

ঢাকা টু কুয়েত বিমান ভাড়া

 

ঢাকা টু কুয়েত বিমান ভাড়া মূলত তিন ধরনের টিকিটের ওপর নির্ভর করে। সেগুলো হলো:

 

➡️সবচেয়ে কম দাম

➡️মিডিয়াম দাম এবং

➡️সবচেয়ে বেশি দাম

 

সবচেয়ে কম দামের বিমান ভাড়া ২১ হাজার ৬৫৮ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। অপরদিকে মিডিয়াম টিকিটের দাম অনুযায়ী মোটামুটি ভাড়া পড়বে ২১ হাজার প্লাস এবং ফার্স্ট ক্লাস বিমান টিকিটের জন্য মোটামুটি খরচ পড়বে ১১,৬১৭১ টাকা পর্যন্ত। তবে হ্যাঁ এক একটি বিমান এয়ারলাইন্সের ক্ষেত্রে ভাড়ার পরিমাণ এর বিভিন্ন তারতম্য থেকে থাকে।

 

দূতাবাস কনসিলার কাউন্টারের সময়সূচী ও ঠিকানা/বাংলাদেশে কুয়েত এম্বাসি কোথায়

 

ঢাকা, বাংলাদেশ এর কুয়েত দূতাবাস- হাউস নং #০৫, রোড নং #৮০, গুলশান ২ এ অবস্থিত। বৃহত্তর অবস্থান এর মানচিত্র দেখুন, কুয়েত দূতাবাসে গাড়ি চালানোর দিক নির্দেশ পান বা ঠিকানা, ফোন, ফ্যাক্স, ইমেল, অফিস এর সময়, অফিসিয়াল ওয়েবসাইট, কনস্যুলার দেখুন পরিষেবা, ভিসার ধরন এবং মিশন প্রধান (H O M)।

দূতাবাস এর ঠিকানাঃ হাউস নং #০৫, রোড নং #৮০,, গুলশান ২ ঢাকা, বাংলাদেশ।

টেলিফোন নাম্বারঃ +88 02- 488 112 40- 3 ফ্যাক্স নাম্বারঃ +88 02- 588 152 57

ইমেইল এড্রেসঃ Kuwait_embd@yahoo.comcom

অফিস এর সময়সূচি

শনিবার থেকে বৃহস্পতিবার: সকাল 9:00 থেকে সন্ধ্যা 6:00 পর্যন্ত সেবা প্রদান করা হয়।

 

পরিশেষে: তো সুপ্রিয় দর্শকবৃন্দ, কুয়েত ভিসা সম্পর্কে যদি কোন প্রশ্ন থেকে থাকে আমাদের কমেন্ট সেকশনে জানিয়ে দিন। সেই সাথে পরবর্তী যেকোনো পোষ্টের নোটিফিকেশন পেতে ও আপডেট পেতে আমাদের সাথে থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।

সম্পর্কিত আর্টিকেল

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Back to top button