কাতার ফ্রি ভিসা পাওয়ার উপায়,সুবিধা ও অসুবিধা
মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতারে বাংলাদেশী শ্রমিকদের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।একসময় কাতার বাংলাদেশ থেকে প্রচুর পরিমাণ কর্মী নিয়োগের মাধ্যমে নিতো। কিন্তু যত সময় যাচ্ছে তত বাংলাদেশ থেকে কাতারের কর্মী নেওয়ার তৎপরতা অনেক কমে যাচ্ছে।যার কারণে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতারে বাংলাদেশের শ্রমবাজার নষ্ট হচ্ছে। অনেকে কাতার যাওয়ার জন্য ফ্রি ভিসা করে থাকেন। আজকের পোস্টে শুধুমাত্র কাতার ফ্রি ভিসা কি এবং কাতার ভিসার বিভিন্ন সুবিধা অসুবিধা সম্পর্কে আলোচনা করবো। তাহলে চলুন দেরি না করে জেনে যাওয়া যাকঃ-
অন্য পোস্টঃবাংলাদেশ থেকে খুবই কম খরচে কাতার যাওয়ার উপায়
কাতার ফ্রি ভিসা কি?
কাতার থেকে যখন শ্রমিক নেওয়ার জন্য নিয়োগ দিয়ে থাকে বাংলাদেশ থেকে অনেকেই কাতার ফ্রি ভিসার জন্য আবেদন করেন।কিন্তু কাতার ফ্রি ভিসা বলে কোন ধরনের ভিসা নেই। কাতারের এম্বাসির যে ওয়েবসাইটি রয়েছে সেখানে কাতার ফ্রি ভিসার কোন উল্লেখ নেই। কাতারের ফ্রি ভিসা কে সাধারণত কাতারের ভাষায় বেকার ভিসা বলা হয়ে থাকে।
অর্থাৎ এই ভিসার মাধ্যমে আপনাদেরকে নিজেদের কাজ নিজে খুঁজে নিতে হবে এবং যতদিন পর্যন্ত কাজ পাবেন না ততদিন নিজের টাকা খরচ করে কাতারে থাকতে হবে।বর্তমানে বেশিরভাগ বাংলাদেশী কাতারে এই ভিসার মাধ্যমে যাচ্ছেন। অনেকেই লাখ লাখ টাকা খরচ করে qatar free visa মাধ্যমে গিয়ে ভালো কাজ না পেয়ে হতাশ হচ্ছেন এবং অনেকে ভোগান্তিরও শিকার হচ্ছেন।
অন্য পোস্টঃকাতারের ড্রাইভিং ভিসা পেয়ে ভালো বেতনে চাকরি করার উপায়
কাতার ফ্রি ভিসার সুবিধা ও অসুবিধা
আপনারা ইতিমধ্যে জেনে গিয়েছেন কাতার ফ্রি ভিসা বলে কোন ধরনের ভিসার অস্তিত্ব নেই। ফ্রি ভিসা কে বলা হয়ে থাকে বেকার ভিসা।কিছু অসাধু বাংলাদেশী স্বল্প আয়ের আরবিয়দের মাধ্যমে অস্থায়ী অফিস দেখিয়ে একটা কোম্পানির ট্রেড লাইসেন্স তৈরি করে থাকে।এই ট্রেড লাইসেন্সের মাধ্যমে বাংলাদেশের ভিসা ইস্যু করে সেটাকে ফ্রি ভিসা হিসেবে চালিয়ে থাকে।
সাধারণত কাতারের দোহাই অফিস তৈরিকৃত এই সকল বাংলাদেশী দালালদের একটি ভিসা তৈরি করতে ৫ থেকে ১০ হাজার টাকার মতো খরচ হয়ে থাকে বাংলাদেশী টাকায়। কিন্তু এই সকল অসাধু ব্যবসায়ী এই ভিসা বিক্রি করে থাকে ৫ থেকে ১০ লাখ টাকায়।আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত ও নেপাল থেকে চাকরি নিয়ে কাতারে যেতে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকার মত টোটাল খরচ হয়ে থাকে।সেখানে আমাদের দেশ থেকে কাতার যেতে খরচ হয় পাঁচ থেকে ছয় লক্ষ টাকা।
যার কারনে ধীরে ধীরে অনেকেরই বিদেশ যাওয়ার প্রতি আগ্রহ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে এবং মধ্যপ্রাচ্যে বাংলাদেশের শ্রমবাজার নষ্ট হচ্ছে।বিশেষ করে যারা ফ্রি ভিসা ইস্যু করে ফেলছে অসাধু দালালদের হাত ধরে তারা সেখানে গিয়ে আরো অনেক ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে।তাই অবশ্যই বলা যায় কাতার ফ্রি ভিসার সুবিধার চেয়ে অসুবিধা অনেক বেশি রয়েছে।
কাতার ফ্রি ভিসার দাম কত/কাতার ফ্রি ভিসা প্রাইস ইন বাংলাদেশ
কাতার ফ্রি ভিসার দাম কত বা কাতারে ফ্রি ভিসা নিয়ে যেতে মোট কত টাকা খরচ হয়ে থাকে এই বিষয়ে এবার বিস্তারিত ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করবো।যদি বৈধভাবে qatar free visa বা বেকার ভিসা নিয়ে কাতার যেতে চান তাহলে টোটাল খরচ হতে পারে ৮০ হাজার থেকে এক লাখ টাকার মত।তবে বাংলাদেশী দালালদের হাত ধরে গেলে এই খরচটা আপনার হয়ে যেতে পারে পাঁচ থেকে ছয় লাখ টাকার মধ্যে।অর্থাৎ এই টাকার মধ্যে আপনাকে তারা কোম্পানির ইসুকৃত একটি ভিসা ধরিয়ে দিবে যেটার কফিল আপনাকে দেওয়া হবে না।এমন অনেকেই রয়েছেন যারা তাদের ভিসার কফিল কাতারে অবস্থানরত ছয় থেকে সাত বছরের মধ্যেও দেখতে পাননি।তাই অবশ্যই এই দিক থেকে আমাদের সচেতন থাকতে হবে।
অন্য পোস্টঃকাতার ফ্যামিলি ভিসা পাওয়ার উপায়
শেষ কথা, আশা করি আজকের পোস্টটি যারা পড়েছেন তারা কাতার ফ্রি ভিসা কিভাবে পাবেন ও কাতার ফ্রি ভিসার দাম কত এই বিষয় সম্পর্কে মোটামুটি ধারণা পেয়েছেন। তারপরেও যদি কোন কিছু বুঝতে অসুবিধা হয়ে থাকে বা এই বিষয়ে কোন কিছু জানার থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাতে পারেন। ধন্যবাদ।