সিটি ব্যাংক বাইক লোন পাওয়ার উপায়।City bank bike loan
সিটি ব্যাংক বাংলাদেশের একটি বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক। সিটি ব্যাংক বাংলাদেশ খুবই জনপ্রিয় একটি ব্যাংক।সিটি ব্যাংক থেকে সকল সময় গ্রাহকদের উন্নয়নের জন্য কাজ করা হয়। সিটি ব্যাংকের বিভিন্ন সেবা গুলোর মধ্যে রয়েছে সিটি ব্যাংক বাইক লোনের সেবা অন্যতম ।যারা লোনের মাধ্যমে বাইক কিনতে চান তারা সিটি ব্যাংক থেকে সরাসরি লোন নিয়ে আপনার স্বপ্নের বাইক কিনতে পারেন।
আজকের পোষ্টে সিটি ব্যাংক বাইক লোন কিভাবে পাবেন এবং সিটি ব্যাংক বাইক লোন পাওয়ার জন্য যোগ্যতা কেমন থাকা লাগবে সেই বিষয় নিয়েই জানানো হবে।
সিটি ব্যাংক বাইক লোন নেওয়ার নিয়ম
সিটি ব্যাংক থেকে বাইক কেনার জন্য লোন দেওয়া হয়ে থাকে এই বিষয়ে প্রথমে আপনাদেরকে বলেছি।নির্দিষ্ট যোগ্যতা থাকলে যেকোনো ব্যক্তি চাইলে সিটি ব্যাংক থেকে লোন নেওয়ার মাধ্যমে বাইক কিনতে পারবেন।তবে অবশ্যই সিটি ব্যাংক থেকে লোন নিতে হলে আপনাকে তাদের কিছু শর্তাদি রয়েছে সেগুলো পূরণ করতে হবে এবং এখান থেকে লোন নেওয়ার সুযোগ-সুবিধা সম্পর্কে জানতে হবে।
সিটি ব্যাংক বাইক লোন কারা নিতে পারবে?
আপনি যখন সিটি ব্যাংক থেকে বাইক লোন নিবেন অবশ্যই তারা আপনাকে তাদের শর্তাদি অনুযায়ী লোন দিবে। তাই সিটি ব্যাংক থেকে মোটরসাইকেল লোন নেওয়ার জন্য কোন কোন যোগ্যতা আপনার ভিতরে থাকা লাগবে তা নিচে দেওয়া হলো:-
➡️যারা সিটি ব্যাংক থেকে লোন নিবেন তাদেরকে অবশ্যই প্রাপ্তবয়স্ক এবং বাংলাদেশী নাগরিক হতে হবে।
➡️ব্যবসায়ী, চাকরিজীবী এবং অন্যান্য যে কোন পেশার লোক অর্থাৎ ঋণ পরিশোধে সক্ষম ব্যক্তি সিটি ব্যাংক বাইক লোন নিতে পারবেন।
➡️আপনি যদি চাকরিজীবী হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার মাসিক বেতন ১৫ হাজার টাকার উপরে হতে হবে এবং ব্যবসায়ী হয়ে থাকলে আপনাকে অবশ্যই কর্তৃপক্ষকে তা জানাতে হবে।তারা যাচাই-বাছাই শেষে আপনি লোন পরিশোধ করতে পারবেন কিনা সেটা দেখবে।অর্থাৎ সিটি ব্যাংক বাইক লোন পাওয়ার জন্য ব্যবসায়ীদের মাসে কমপক্ষে ২৫ হাজার টাকা আয় থাকতে হবে।
➡️যারা ফ্রিল্যান্সার প্রবাসী এবং অন্যান্য পেশার লোক যদি সিটি ব্যাংক বাইক লোন নিতে চান তাহলে তাদের মাসিক বেতন ৩০ হাজার টাকার উপরে হতে হবে।
সিটি ব্যাংক বাইক লোন পাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট
সিটি ব্যাংক বাইক লোন নেওয়ার জন্য অবশ্যই আপনাকে কিছু কাগজপত্র জমা দিতে হবে।প্রয়োজনীয় কিছু কাগজপত্র জমা না দিলে আপনি কখনোই সিটি ব্যাংক বাইক লোন নিতে পারবেন না। সিটি ব্যাংক লোন নেওয়ার জন্য যে ধরনের কাগজপত্র প্রয়োজন হবে তা নিচে উল্লেখ করা হলোঃ-
১.জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি দিতে হবে।
২.আবেদনকারী ব্যক্তিকে অবশ্যই টিন সার্টিফিকেট জমা দিতে হবে এবং আবেদনকারীর তিন কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি লাগবে।
৩.সিটি ব্যাংক থেকে যারা মোটরসাইকেল লোন নিতে চান তাদের নমিনির ২ কপি ছবি দিতে হবে। অবশ্যই এই ক্ষেত্রে দুই জনকে নমিনী করতে হবে ।
৪.তাছাড়া ফ্রিল্যান্সার কোন ব্যক্তি যদি সিটি ব্যাংক থেকে বাইক লোন নিতে চান তাহলে তার পূর্ববর্তী ছয় মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট দিতে হবে এবং তিনটি সাম্প্রতিক কার্যাদেশের কপি দিতে হবে।
তাছাড়া আপনাদের সুবিধার জন্য সিটি ব্যাংক থেকে লোন নেওয়ার জন্য যে সকল ডকুমেন্ট প্রয়োজন তা আপনারা নিচের ছবির মাধ্যমে দেখতে পারবেন।
অর্থাৎ এই ডকুমেন্টগুলো দেওয়ার মাধ্যমে যে কোন ব্যক্তির সিটি ব্যাংক থেকে খুব সহজেই বাইক লোন নিতে পারবেন।
City Bank Bike Loan interest Rate/সিটি ব্যাংক বাইক লোন ইন্টারেস্ট রেট
সিটি ব্যাংক থেকে বাইক লোন নিলে আপনাকে কত টাকা সুদ দিতে হবে বা কত টাকা ফি কাটবে সেই বিষয়ে জানাটা খুবই জরুরী।সিটি ব্যাংক বাইক লোন যারা নিয়ে থাকেন তাদের কে সাধারনত ১২.৯৯ শতাংশ ইন্টারেস্ট প্রদান করতে হয়। তবে মেয়েদের ক্ষেত্রে বাইক লোনের ইন্টারেস্ট ১১.৯৯ শতাংশ নেওয়া হয়। সিটি ব্যাংকের কোন কর্মী যদি সিটি ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে থাকে তাহলে তাদের ইন্টারেস্ট রেট ৪.৯৪ শতাংশ হয়ে থাকে।
সিটি ব্যাংক থেকে কত টাকা বাইক লোন দেয় ও পরিশোধের সময়
সিটি ব্যাংক থেকে সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত বাইক লোনের জন্য দিয়ে থাকে।সিটি ব্যাংক বাইক কেনার এবং রেজিস্ট্রেশন করা সহ মোট যত টাকা খরচ হয় তার 80% ঋণ প্রদান করে থাকে। অর্থাৎ আপনি যদি দুই লক্ষ টাকা দিয়ে বাইক কিনতে চান তাহলে সিটি ব্যাংক আপনাকে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকার লোন প্রদান করবে।তবে মেয়েদের ক্ষেত্রে ইসলামী ব্যাংক 100% লোন দিয়ে থাকে।যারা সিটি ব্যাংক থেকে বাইক লোন নিয়ে থাকেন তাদের কে ৬ মাস থেকে ৩৬ মাসের মধ্যে লোন পরিশোধ করতে হবে।
সিটি ব্যাংক বাইক লোন আবেদন ফরম
যারা সিটি ব্যাংক থেকে লোন নিতে চান তারা সরাসরি নিকটস্থ সিটি ব্যাংকের শাখায় চলে যেতে পারেন। অথবা নিজের ছবিতে দেওয়া বিবরণী অনুযায়ী সিটি ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করে সরাসরি কথা বলতে পারেন।
তাছাড়া সিটি ব্যাংক লোন নেওয়ার জন্য যে ফরমটি দরকার হবে সে ফরমটি আপনারা সরাসরি সিটি ব্যাংকের শাখায় পেয়ে যাবেন।
শেষ কথা, সিটি ব্যাংক বাইক লোন ২০২২ বা সিটি ব্যাংক বাইক লোন কিভাবে পাবেন আজকের পোস্টটি যারা সম্পন্ন করেছেন তারা এই বিষয়ে অবশ্যই সুস্পষ্ট ধারণা পেয়েছেন।তার পরেও যদি কোন কিছু জানার থাকে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাতে পারেন।